ছাত্রলীগকে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নারী দাস বাজারে পরিণত করেছে সরকার: রিজভী
অনলাইন ডেস্ক:
সরকার ছাত্রলীগকে দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নারী দাস বাজারে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।সোমবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ইডেন কলেজে সাম্প্রতিক ঘটনা ও সারা দেশের নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইডেন কলেজের ছাত্রী সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা ছাত্রলীগকে দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নারী দাস বাজারে পরিণত করছেন। আমরা যে ঘটনাগুলো শুনছি, খবরের কাগজে পড়ছি এটাতো মধ্যযুগের ব্যাপার। নারীকে দাসে পরিণত করে তাকে বিক্রি করা। সেই কুকীর্তিইতো আমরা ইডেন কলেজে দেখছি।
আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামীকরণ করছে। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে থাকবে তখন গণতন্ত্রের জন্য এদের মুখ দিয়ে খই ফুটবে কিন্তু ক্ষমতায় আসলে প্রথমেই গণতন্ত্রকে হত্যা করবে।
তিনি বলেন, ৭২-এর সংবিধানে যে মৌলিক অধিকারগুলো ছিল সেখানে প্রতিটি মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত ছিল। এরপর আওয়ামী লীগ ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইন করে যে, ‘একটা মানুষকে গ্রেফতার করে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আটকে রাখতে পারবে’। এই আইনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে প্রথম হত্যা করে তারা।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় আইনের বিরুদ্ধে আইন তৈরি করে গুণ্ডামি করেছে। তাহলে ছাত্রলীগ কেন করবে না? ছাত্রলীগের ওপরে যেসব আওয়ামী লীগের কর্তা ব্যক্তিরা আছেন তারাইতো চেয়েছেন ছাত্রলীগ একটা গুণ্ডা বাহিনীতে পরিণত হোক। ওদেরকে দিয়ে বিএনপির কর্মসূচিতে আঘাত করতে চায় শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ থেকে কেউ বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, বড় অর্থনীতিবিদ ও গুণী মানুষের জন্ম হোক এটা শেখ হাসিনা চায় না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশে লেখাপড়া নেই, আছে ছাত্র তার পরে লীগ। লেখাপড়া তুলে দিয়ে শেখ হাসিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছেন। মানুষ যদি বুঝতে পারে ছাত্রলীগের মিছিল আসছে, তাহলে তারা দোকান পাট সব বন্ধ করে দেয়। কারণ, ওদের পরিচয় ওরা মানুষকে হত্যা করে।
মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ মহিলা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নারী নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।