জুলাই মাসে যখন অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন অঝোরে কেঁদে ছিলেন। এবার কাঁদলেন না। তবে পাথর মন নিয়ে ১২ মিনিটের ভিডিও বার্তায় অনেক কিছুই বলেছেন তামিম ইকবাল। এরপর একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সাক্ষাৎকারে সাকিব তামিমকে বিশ্বকাপ দলে না নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন। তবে তারা দুইজনই পাল্টাপাল্টি যুক্তি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে একটি রহস্যময় স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল। যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার শেষ ম্যাচের তারিখ উল্লেখ করেছেন। তবে কি অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন এই তারকা?
গত ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হারলেও এশিয়া কাপ না খেলা তামিম একাদশে ফেরেন। এমনকি ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও (৪৪) করেন দেশসেরা এই ওপেনার। যদিও তৃতীয় ম্যাচে ফিটনেস ইস্যুতে বিশ্রামে যান তিনি। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের এখনো পর্যন্ত সেটিই শেষ ম্যাচ।
ফেসবুক পোস্টে সেই ম্যাচে নিজের করা একটি শটের ছবি দিয়ে তামিম ক্যাপশনে লেখেন, ‘সবসময় আলোর দিকে এগিয়ে যাবেন, অন্ধকার এমনিতেই আপনার পেছনে পড়ে যাবে। বনাম নিউজিল্যান্ড, সেপ্টেম্বর ২৩, মিরপুর।’ এর মানে কি নীরবে অবসরে যাচ্ছেন তামিম?
এর আগে যে ১৫ জন বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন তাদের শুভকামনা জানিয়ে সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, দিন শেষে যে ১৫ জনই বিশ্বকাপে গেছে, তাদের অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আশা করি, তারা যতোটুকু সম্ভব বাংলাদেশের জন্য সাফল্য নিয়ে আসবে।
এর আগে বুধবার দুপুরেই তামিম নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়া ও গত কয়েকদিন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সবকিছু জানাতে বাংলাদেশ দল ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার পর একটি ভিডিও বার্তা দেবেন তিনি। অবশেষে বিকেল সোয়া পাঁচটায় সেই ভিডিও বার্তা সামনে আসে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিতে ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার পর একটি ভিডিও বার্তা দেন তামিম। ১২ মিনিটের সেই ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়া ও গত কয়েকদিন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সবকিছু তুলে ধরেন।
ভিডিও বার্তায় সরাসরি অবসরের ঘোষণা না থাকলেও ইঙ্গিতপূর্ণ কথাও অবশ্য বলেছেন তামিম, ‘একটা কথা, আমাকে সবাই মনে রাখবেন। ভুলে যাবেন না।’
উল্লেখ্য, তামিম ইকবাল দেশের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে মোট ৩৯১ ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাট হাতে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২৫টি সেঞ্চুরি আর ৯৪টি ফিফটির সাহায্যে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ২৫১ রান করেন তামিম।