সাতক্ষীরা শহরের মধুমল্লারডাঙ্গী এলাকার মৃত.আজিমুদ্দীন গাজীর মেয়ে সুফিয়া বেগম।স্বামীর মৃত্যুর পর ঠাঁই এখন বাবার বাড়িতে। সেখানে প্রাথমিক পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি। বড় মেয়েটি বিয়ে হওয়ায় স্বামীর সংসারে। শহরের অলিগলিতে ভিক্ষা করে বেড়ান সুফিয়া।
রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের খুলনা রোড মোড় বঙ্গবন্ধু মোরালের পাশ থেকে চুরি হয়ে যায় ভিক্ষার সেই থলিটা। ভিক্ষার থলিতে ছিল চাল, ভাত, একটি পেয়ারাসহ নগদ ৭০০-৮০০ টাকা। ভিক্ষার থলি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন সুফিয়া। ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি দৃষ্টিতে আসে সবার।
ভিক্ষার থলি হারিয়ে আহাজারি করা সেই সুফিয়া বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সুফিয়াকে ডেকে নেন এসপি। সেদিনের চুরি হওয়ার ঘটনাটি বিস্তারিত শোনেন তিনি। নগদ অর্থ সহায়তা করেন সুফিয়াকে।মুহূর্তেই ভিক্ষুক সুফিয়া বেগমের মলিন মুখটিতে দেখা দেয় হাসি। আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। সুফিয়া বেগম বলেন, আমি এখন ভাঙা ঘরটি মেরামত করতে পারবো। স্যারদের জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করবো।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, ভিক্ষুক মানুষের টাকা চুরি করবে এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। আমরা চোরকে শনাক্তের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে একজন গরীব অসহায় মানুষকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত, এটা আমাদের ভালো লাগে। পুলিশের তেমন কোন ফান্ড নেই। তারপরও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকলে মিলে আমরা তাকে সহায়তা করেছি এটা আমাদের কিছু করবার একটা প্রয়াস।