সাতক্ষীরার দেবহাটায় অভিযান চালিয়ে একটি বন্দুক, সাত রাউন্ড গুলি ও একাধিক ধারালো রাম দাসহ তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দেবীশহর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার নোড়ারচকের ওমর আলী গাজীর ছেলে শরিফুল গাজী (৩৫), খলিশাখালির মৃত আবু বকরের ছেলে কামরুল গাজী (৫০) এবং ভাঙ্গানমারির মৃত আনছার আলীর ছেলে মুরশিদ আলী সরদার (৫০)।এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, সাত রাউন্ড গুলি, ধারালো রাম দা, চাইনিজ কুড়াল ও লাঠিসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।
এঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিন ডাকাতসহ ৬ জনকে এজাহার নামীয় এবং আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে দেবহাটা থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার জনৈক ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে এসব অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটি বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্যাহ বলেন, সংঘবদ্ধ এ অস্ত্রধারী ডাকাত চক্রটির আবাসস্থল মূলত খলিশাখালি জনপদ। গেল বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ভোররাতে মুহুর্মহু গুলি ও বোমা বর্ষণের মধ্যদিয়ে খলিশাখালি নামক ১৩শ বিঘা ব্যক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডীয় জমি জবরদখলে নেয় কয়েক’শ ভূমিদস্যু, ডাকাত এবং সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ওই জনপদকে তারা অপরাধ কর্মকান্ডের আঁখড়া করে তুলেছিল। এসব সন্ত্রাসী দিনের বেলায় খলিশাখালিতে আত্মগোপনে থাকতো এবং রাত নামলেই এলাকায় ডাকাতিসহ দস্যুতা করে বেড়াতো। ভূমিদস্যু, ডাকাত, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় নোড়ারচকের মৃত আকরাম গাজীর ছেলে মুজাহিদ (২৭), নাংলা’র আয়ুব আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে কালু (৪০), একই গ্রামের মৃত কালু হাজীর ছেলে আব্দুল গফুর ওরফে গফুর মাস্তান (৫৭), বাবুরাবাদের রুহুল আমিনের ছেলে আকরাম হোসেন ওরফে দুর্ধর্ষ আকরাম ডাকাত (৪৭) সহ সংঘবদ্ধ এ ডাকাত দলের আরও ৫-৬ জন অস্ত্রধারী।