সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বৈদ্যুতিক শর্ট খেয়ে এক যুবকের মৃত্যু
আশিকুর রহমান- উপকূলীয় প্রতিনিধি:
শ্যামনগর গাবুরা চাঁদনীমূখা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে বাপ্পি (২৭) ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে বৈদ্যুতিক শর্ট খেয়ে মারা গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।বুড়িগোয়ালিনী মসিনের হুলা নামক দাতিনাখালী নদীর চরে জিউও বস্তা সেলাই করতে ছিল বাপ্পি, সে সময় হাতে থাকা সেলাই মেসিন বৈদ্যুতিক শর্ট হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
দাতিনাখালী এলাকার হীরা মিয়া বলেন আমার বাড়ির পাশে নদীর চরে জিউও বস্তা মেশিন দিয়ে সেলাই করতে ছিল সকাল থেকে।হটাৎ বাপ্পি মাগো বলে চিৎকার দেয়।আমার মা চিৎকার শুনে আমাকে বলে হীরা দেখদিন ঐ ছেলেটা মা বলে চিৎকার দেল কানো। সেসময়ে আমি দৌড়ে যেয়ে দেখি বাপ্পি ভুট হয়ে পড়ে আছে। আমি বুঝলাম ও তো কারেন্ট লাইন নিয়ে কাজ করতে ছিল তাথে কিছু হলো কিনা এই বুঝে
আমি ওখান থেকে দৌড়ে এসে আগে বৈদ্যুতিক লাইনের তারে কাঠ দিয়ে বাড়িমেরে ছিড়েফেলি।পরে এলাকার লোক জন ডেকে ওরে নিয়ে আশি। সংবাদ পেয়ে আইয়ুব ভাই ছুটে আসে, এসে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।
এবিষয় আইয়ুব আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি খবর পেয়ে ছূটে আসি ঘটনা স্তলে, তাৎক্ষণিক গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই বাপ্পিরে,কিছুক্ষণ পর ডাক্তার বলেন মারা গেছে বাপ্পি।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে ছুটে আসেন বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম,ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান সহ মৃত বাপ্পির সহদর ভাই ও আত্মীয়সজন।শ্যামনগর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থান পরিদর্শন সহ এলাকাবাসীর বক্তব্য ও মৃত বাপ্পির বাবার অভিমত নিয়েছে।
মৃত বাপ্পির বাবার কোন প্রকার অভিযোগ না থাকায় বাপ্পির লাশ বাড়িতে নিয়ে জাওয়ার অনুমতি দেন থানা পুলিশ।মৃত বাপ্পির ৩বছরের একটি ছেলে আছে।